স্বপ্নযাত্রা

জীবন-যাপনের গ্রামীণ বাঙালী সংস্কৃতির পুনঃ জাগরণ

“স্বপ্নযাত্রা” কী এবং কাদের জন্য প্রযোজ্যঃ “স্বপ্নযাত্রা” শুধু সর্বাধুনিক আবাসন নয়, এটি একটি সম্পূর্ণ কমিউনিটি। কমিউনিটি ফ্রেন্ডস হতে আগ্রহী স্বচ্ছ, সুন্দর এবং পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থায় বিশ্বাসীদের জন্য “স্বপ্নযাত্রা” (৩৬০ ডিগ্রী) ডেভেলপ করা হচ্ছে।

বুয়েটের অধ্যাপক এবং অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে মিরপুর ক্লাব নির্মাণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম কমিউনিটি কন্ডোমিনিয়াম, রেসিডেন্সিয়াল রিসোর্ট এবং কমিউনিটি হোমস “স্বপ্নযাত্রা”।

স্বপ্নযাত্রার পটভূমিঃ
বাঙালী সংস্কৃতির পরিকাঠামো আসলে “গ্রামীণ জীবন আচার” নির্ভর। আসুন ব্যাখ্যা করি। প্রকৃতপক্ষে আজ থেকে ৪০ বছর আগের বাংলাদেশে মানুষের বেঁচে থাকা কেমন ছিল? আমাদের বাড়িগুলো অনেকগুলো পরিবারের জন্য তৈরি হত, মানে অনেকগুলো ঘরে অনেকগুলো পরিবার একসাথে বাস করতো। একা একটি বাড়িতে বাস করার রীতি বাঙালী সমাজে ছিলই না। ঘরগুলো ছিল রাতে শোবার জন্য, সারাটি দিন আমরা সারাবাড়ি, বাগান, পুকুর, খাল-বিল-নদী আর মাঠ নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। নিজের জমির ধান, নিজেদের পুকুরের মাছ আর বাড়ির পাশে ক্ষেতের সবজীতে তাদের পেট ভরতো। বাঙালী গর্ব করতো জমির ধান, নিজেদের পুকুরের মাছ আর ক্ষেতের সবজী নিয়ে। নিজেদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত উৎপাদন সে আরেকজনকে শেয়ার করতো। বাঙালীর বিনোদন ছিল বিকেলে ফুটবল মাঠে আর সন্ধ্যায় “কাচারী” ঘরে। বাঙালী ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা শুরু হত কাচারি ঘরে একসাথে। সকালে মক্তবের আরবী শিক্ষা বা সন্ধ্যায় বাচ্চাদের একসাথে পড়তে বসার রেওয়াজ আমাদের সন্তানদের কমিউনিটিতে “একজন মানুষ” হিসাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করতো। ফলাফল হত এই যে, চারপাশের সবকিছু একা ভোগের মনোভাব তৈরি হত না। বাঙালীর প্রথম সামাজিক প্রতিষ্ঠান ছিল “কাচারি” ঘর, তারপাশে একটি বড় উঠান যেখানে কোন বাটোয়ারা চলেনা, একদিকে সবজির বাগান, সাথে ফলের বাগান, আরেকপাশে পুকুর আরও একটু দূরে ধানের জমি। জমিতে উৎপাদিত উদ্বৃত্ত সবজী, ফল আর পুকুরের মাছ পড়শী আর কুটুম বাড়িতে পাঠানো হবেনা তা কখনও হয় নাকি? গ্রীষ্মে গাছের আম আর পদ্মা’র ইলিশ মাছ জামাই বাড়িতে পাঠানোই ছিল বাঙালী’র রীতি। বৈশাখের বর্ষ-বরণ, পৌষ-পার্বণ আর কুরবানীর মত জীবন আচার বাঙালী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। কোন এক কালে পালের গরু কোরবানি করা কৌলিন্যের প্রকাশ ছিল। আত্মীয়-স্বজনকে সাথে নিয়ে বেড়ানোর জন্য সমভ্রান্ত বাঙালীর বাগানবাড়ি থাকতো। এই জীবন আচারই বাঙালীর শেকড়, তার সংস্কৃতি। মাছ শুধু পানিতে লাফায়, তার ভালো থাকা পানিতে, বরফের সাদা শুভ্রতা তার পছন্দ নয়, তাকে বরফে বাঁচানো যাবে না।

নগর জীবনে বাঙালী সংস্কৃতি থেকে আমরা অনেকদূরে চলেগেছি। জীবন জীবিকা আর ভালো থাকার তাগিদে বাঙালী ছড়িয়ে আছে দেশে বিদেশে। এই দূরত্ব বাঙালীকে তার সংস্কৃতি থেকে কোন অবস্থাতেই আলাদা করতে পারেনি। তাই দূরদেশেও ছোট্ট একটি মিনি বাঙালী কমিউনিটি বানিয়ে তাতেই সে বেঁচে থাকে।

বিদেশের সবগুলো সুযোগ সুবিধার সাথে বাঙালীয়ানাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাই করা হয়েছে “স্বপ্নযাত্রায়”।

“স্বপ্নযাত্রা” কারা নির্মাণ করছেঃ
মিরপুর ক্লাব একটি কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ক্লাব হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে ২০১৮সালের ২৬শে আগস্ট তারিখে কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে। প্রথম লক্ষ্য ১০ হাজার সমভাবাপন্ন মানুষের একটি সমাজ নির্মাণ করা, যার উদ্দেশ্য “ভালো রাখা এবং ভালো থাকা”। মিরপুর ক্লাবে সমবেত মানুষ মূলত দুই শ্রেনির, প্রথমত উদ্যোক্তা এবং দ্বিতীয়ত প্রফেশনাল বা পেশাজীবি। মূল নাম এন্টারপ্রেনারস এন্ড প্রফেশনালস মিরপুর ক্লাব লিমিটেড, যা একটি কমিউনিটি প্লাটফর্ম হিসাবে সংগঠিত হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেধাবী উদ্যোক্তা, দেশী ও বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার, ডাক্তার, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা, আইনজীবী, কৃষিবীদ, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশার পেশাজীবি দ্বারা।

কেন নির্মাণ করা হচ্ছেঃ
“স্বপ্নযাত্রা” একটি সম্পূর্ণ আধুনিক কমিউনিটি জীবন ব্যবস্থার নাম। এটি কোন প্রথাগত মুনাফাভোগী বাণিজ্যিক আবাসন প্রকল্প নয়। “স্বপ্নযাত্রা” ২৬৬টি (কিছুটা কম বেশী হতে পারে) সমভাবাপন্ন পরিবারের একটি সুসংগঠিত কমিউনিটি, যেখানে আধুনিক জীবন যাপনের সকল বিষয়কে বিবেচনায় রেখে কমিউনিটি প্রকল্পটি সাজানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের সকল সুবিধার সমন্বয়ে এই প্রথম বাংলাদেশে ৭টি সুনির্দিষ্ট কমিউনিটি সার্ভিস বাস্তবায়নকল্পে কমিউনিটি হোমস বিনির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

কমিউনিটি সার্ভিস সমূহঃ
১। সামাজিক নিরাপত্তা, ভবিষ্যতে যা বাস্তবায়িত হবে ১০ হাজার সমভাবাপন্ন মানুষের নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে।
২। আয় বর্ধন, যা বাস্তবায়ন হবে সদস্যদের বেন-ইকনমিতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে।
৩। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার উপযোগী শিক্ষা এবং নতুন প্রজন্মের সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ।
৪। রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানঃ মেধা, অভিজ্ঞতা এবং নেটওয়ার্ক এর সর্বোচ্চ প্রয়োগের ক্ষেত্র সৃষ্টি করা।
৫। সকলের জন্য যথোপযুক্ত সময়ে সামাজিক কল্যাণ সাধন করা।
৬। সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে ভালো বন্ধুত্ব সৃষ্টি এবং রক্ষা করা।
৭। একসাথে থাকা, একসাথে বাঁচা, একসাথে জীবন-যাপনের গ্রামীণ বাঙালী সংস্কৃতির পুনঃ জাগরণ।

প্রকল্পের উন্নয়ন এবং বাস্তবায়নেঃ মিরপুর ক্লাবের তত্ত্বাবধানে তিনটি সংস্থা সম্পূর্ণ প্রকল্পের উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করবে। (১) এমসিএল বিল্ডার্স লিমিটেড (২) সমতট কংক্রিট টেকনোলজিস লিমিটেড (৩) আবাস বিল্ডার্স লিমিটেড।

জমির অবস্থানঃ কালশী-মিরপুর, ৩০০ ফুট সড়ক সংলগ্ন বাউনিয়া মৌজার অন্তর্ভুক্ত জমি। প্রধান সড়কের সাথে ১৮০ ফুট সম্মুখ ভাগ পাওয়া যাবে।

জমির পরিমাণঃ সাড়ে ৫ বিঘা।
গ্রীন এরিয়াঃ মোট জমির ৪৬%।
জমির মালিকানাঃ সাব কবলা দলিল মুলে ক্রয় করা হবে।

প্রকল্পের আওতাধীন নির্মিতব্য ভবনের বিবরণঃ

রেসিডেন্সিয়াল জোন
বিল্ডিং সংখ্যাঃ ৩টি রেসিডেন্সিয়াল কন্ডোমিনিয়াম, প্রতিটির উচ্চতা হবে বেসমেন্ট+গ্রাউন্ড+১৪ তলা।
ফ্লাটের সাইজঃ ১৫০০ বর্গফুট, ১৮০০ বর্গফুট এবং ২১০০ বর্গফুট (কমবেশী)।
ফ্লাটের সংখ্যাঃ ২৬৬টি (২৬৬টি সম্পূর্ণ কমিউনিটি পরিবার)।
প্রতি ফ্লোরে ফ্লাটের সংখ্যাঃ ৬ থেকে ৭ টি।

কমিউনিটি জোন
কমিউনিটি বিল্ডিংঃ ১টি, উচ্চতা হবে ৩টি বেসমেন্ট+১৫ তলা।
কমিউনিটি বিল্ডিং এ ফ্লোর স্পেস এর মোট পরিমাণঃ ১ লাখ, ৩৫ হাজার বর্গফুট।

কমিউনিটি বিল্ডিং এর ফ্লোরের বিবরণঃ
প্রথম ও দ্বিতীয় তলাঃ সর্বাধুনিক শপিংমল।
তৃতীয় ও চতুর্থ তলাঃ ফুড কোর্ট এবং সেন্ট্রাল কিচেন ফুড আউটলেট।
পঞ্চম তলাঃ সেন্ট্রাল কিচেন, লাইভ কিচেন এবং কমিউনিটি ফুড আউটলেট।

ষষ্ঠ ও সপ্তম তলাঃ “স্বপ্নযাত্রা”য় বসবাসকারী সকল শিক্ষার্থীর কমিউনিটিতে শিক্ষার সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এখানে থাকবে সেন্ট্রাল লাইব্রেরী (সিলেবাস অন্তর্ভুক্ত শিক্ষা উপকরণ এবং একুশ শতক উপযোগী শিক্ষা উপকরণ), আনুমানিক ৫০০ জন শিক্ষার্থীর কমিউনিটিতে পড়া/শুনা/বোঝার ব্যবস্থা, গ্রুপ স্টাডি, কমিউনিটি কোচিং ব্যবস্থা (বাণিজ্যিক নয়), সেমিনার হল, স্টাডি হল, ৪টি সর্বাধুনিক ল্যাব (ফান্ডামেন্টাল সাইন্স ল্যাব, ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, ইনোভেশান ল্যাব, ক্রিয়েটিভিটি ল্যাব)। সেন্ট্রাল কিচেন ফাস্ট ফুড আউটলেট। ডে-কেয়ার, স্কুল ফর স্পেশাল চাইল্ড এবং কমিউনিটি স্কুল।

অষ্টম তলাঃ কমিউনিটি ইনডোর গেমস জোন, কমিউনিটি কালচারাল হল, সেন্ট্রাল কিচেন ফুড আউটলেট, কম্পিউটার ল্যাব।
নবম ও দশম তলাঃ মিরপুর ক্লাব লিমিটেড এর লবি, লাউঞ্জ, বলরুম, সেন্ট্রাল ডাটা সেন্টার, সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম এবং অফিস।
একাদশ ও দ্বাদশ তলাঃ অফিস স্পেস, ক্লিনিক, ডাক্তার চেম্বার, ইমারজেন্সি ইউনিট, উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়।
তের ও চৌদ্দ তলাঃ তারকা মানের হোটেল, রেস্ট হাউজ এবং গেস্ট হাউজ।
পনেরো তলাঃ মাল্টিপারপস কমিউনিটি হল।
ছাদঃ ক্লাব মেম্বারদের সুইমিং পুল, বাগান ও লাউঞ্জ।

গ্রীন জোনঃ
কমিউনিটি সুইমিং পুল, ওয়াটার পার্ক, লাউঞ্জ এবং মিনি পার্কঃ কমিউনিটির সকল সদস্যের (ছেলেমেয়ে সহ) খেলাধুলা, এমিউজমেন্টের মূল জায়গা এটি।

সার্ভিস জোনঃ
তিনটি ভবনেই সুবিধাজনক জায়গায় সার্ভিস জোন থাকবে। সার্ভিস জোনে মূলত থাকবে (১) সুপরিসর মসজিদ (২) মন্দির (৩) কমিউনিটিতে বসবাসকারী অন্য সকল ধর্মের উপাসনালয় (৪) সেন্ট্রাল ওয়াসিং সিস্টেম, লন্ড্রি সিস্টেম। (৫) প্রতিটি বিল্ডিং এ আলাদা সার্ভিস জোন/পয়েন্ট। (৬) সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অফিস, স্টাফ ডাইনিং, রেস্ট রুম। (৭) স্মার্ট ডাস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (৮) ইনডোর গেমস (৯) সার্ভিস প্রফেশনাল পয়েন্ট (১০) আইটি, ওয়াই-ফাই, সেন্সর ম্যানেজমেন্ট। (১১) হেলথ স্টাফ সেন্টার (১২) ফায়ার সার্ভিস ব্যাবস্থা (১৩) বয়স ভেদে কমিউনিটি জীম।

সেন্ট্রাল ফুডঃ সেন্ট্রাল কিচেনের আউটলেট, কমিউনিটি রেস্তোরা, স্মার্ট কমিউনিটি ডাইনিং হল। এটি অবস্থান করবে সুইমিং পুল এবং বার-বি-কিউ জোনের সাথে।

ইউটিলিটি সুবিধা সমূহঃ
(১) সোলার সিস্টেম, সাব-স্টেশান, স্ট্যান্ড বাই জেনারেটরের সমন্বয়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
(২) পানিঃ ডিপ-টিউবয়েল এবং ওয়াসার সমন্বয়ে সার্বক্ষণিক পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
(৩) গ্যাসঃ প্রতি ভবনে সমন্বিত গ্যাস সিস্টেমের ব্যবস্থা থাকবে।
(৪) ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টে সর্বাধুনিক সিস্টেম ইমপ্লিমেন্ট করা হবে।

কল সেন্টার এবং সেন্ট্রাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমঃ
মেম্বারদের সাথে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ইন্টারফেস হিসাবে কাজ করবে “কল সেন্টার” যেখানে দিনে ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৭দিন সার্ভিস চালু থাকবে। কল সেন্টার পুরো কমিউনিটির সম্পূর্ণ দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়জিত থাকবে। স্বপ্নযাত্রার সার্বিক ব্যবস্থাপনার “সেন্ট্রাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম” দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একটি চৌকশ কর্মী বাহিনী সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করবে। “সেন্ট্রাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম” ইন্টিগ্রেটেড সফটওয়্যার, লেটেস্ট টেকনোলজি এবং আইওটির সমন্বয়ে কাজ করবে। প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা কর্মীর সমন্বয়ে একটি বাহিনী নিছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

কমিউনিটি সুবিধা সমূহ (৭টি কমিউনিটি সার্ভিসকে মাথায় রেখে স্বপ্নযাত্রা ডিজাইন করা হয়েছে।)
১। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাকারী শিক্ষাঃ “স্বপ্নযাত্রা” কমিউনিটিতে বাসবাসকারী সকল ছেলেমেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নৈতিকতা, মেধা ও মননের সার্বিক বিকাশের ব্যবস্থা করা হবে।

কীভাবে কাজটি করা হবে? দেশীয় বা অন্তর্জাতিক ভালো মানের চাকুরী বা ব্যবসার পূর্বশর্ত (১) ভালো মানের আন্তর্জাতিক শিক্ষা, (২) ভালো মানের নেটওয়ার্ক এবং (৩) নিজেকে করিৎকর্মা হিসাবে তৈরি করা। স্বপ্নযাত্রা এই তিনটি দিকেই বিশেষ নজর দেবে। পুরো স্বপ্নযাত্রা ক্যাম্পাসে প্রতিটি ছেলেমেয়ে একই সুযোগ সুবিধা নিয়ে বেড়ে উঠবে। মোটামুটি ৫০০টি ছেলেমেয়ের মধ্যে একটি বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। প্রতিটি ছেলেমেয়ে মহান রবের কাছ থেকে ১০০ বিলিয়ন নিউরন নিয়ে জন্মে। “কনসেনট্রেশান”, ফোকাস আর “না-জানা”র পার্থক্য তাদের মধ্যে বিভাজন রেখা টেনে দেয়। স্বপ্নযাত্রায় বসবাসরত প্রতিটি ছেলেমেয়ে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাবে। তারা ছড়িয়ে পড়বে সারা পৃথিবীতে। সারা পৃথিবীর যা কিছু ভালো আর যা কিছু মঙ্গলময় তাই জড়ো করবে নিজ মাতৃভূমিতে।

২। সম্পূর্ণ আবাসন ব্যবস্থা ডিজাইন করা হয়েছে সার্বিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের কথা মাথায় রেখে।
একটা সময় ছিল যখন বাঙালী ছেলেমেয়েরা বেড়ে উঠতো দাদি নানির কোলে আর দোলনায় চড়ে। খুব ছোটবেলায় দাদি নানিরা অনেক সময় ধরে বাচ্চাদের সরিষার তেল মেখে রোদে শুইয়ে রাখতো। তারপর বড় বল বা ডিশের গরম পানিতে বেশ কিছুটা সময় ধরে গোসল করাতো। নানীরা ভরা পূর্ণিমার রাতে নাতি-নাতনিদের নিয়ে “ঠাকুমার ঝুলি”র গল্প করতো। বর্ষায় ছোট্র নালার নতুন পানিতে বাচ্চারা জলকেলি করতো, পানি থেকে আর তাদের উঠানোই যেতনা। স্বপ্নযাত্রা এর সব কিছুই মাথায় রেখে সাজানো হয়েছে। স্বপ্নযাত্রায় জীবনটি কেমন হতে পারে? ধরুন ছুটিরদিনে কোন এক সকালে পুরো স্বপ্নযাত্রায় হৈচৈ লেগে গেল। চোখ ডলতে ডলতে জানা গেল সুইমিং পুলে দুই দলের হ্যান্ডবলের লড়াই দারুন জমে উঠেছে। আড়াইশোটি পরিবাবের সকলেই দর্শক কারন কারো বাজারে যাবার বা রান্না করার কোন তাড়া নেই। স্বপ্নযাত্রায় খুব বড় দায় না থাকলে কেউ রাঁধে না। হাজার মইল দূরের দাদা-দাদীরা বছরের পর বছর পথ চেয়ে বসে থাকে না, কারন তারা বর্তমানের নাতি নাতনিদের নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছে। সামনে থাকা নাতি নাতনিরা বার্ধক্যের কোন আহ্লাদ আর অপূর্ণ রাখেনি। এর সবই সম্ভব করা হবে স্বপ্নযাত্রায়।

৩। সেন্ট্রাল কমিউনিটি কিচেনঃ
২৬৬টি পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা সেন্ট্রাল কমিউনিটি কিচেন থেকেই হবে। যদিও সব ফ্ল্যাটেই প্রয়োজন অনুযায়ী কিচেনের ব্যবস্থা থাকবে।

ব্যপারটি ব্যাখ্যা করা যাকঃ উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত মোটামুটি সকলেই খাবার প্রস্তুতির জন্য গৃহকর্মীর উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে গৃহকর্মী প্রাপ্তি আর বেশীদিন সহজতর থাকবে না। তার উপর জ্বালানী সংকটের কারনে রান্নার গ্যাস প্রাপ্তি সহজতর হবে না। এই দুই বাস্তবতার বিবেচনায় আমরা “সেন্ট্রাল কমিউনিটি কিচেন” এর ব্যবস্থা, মানে এক জায়গায় সকল রান্নার ব্যবস্থা রাখছি।

বাসায় রান্নার ক্ষেত্রে খাবারের চাহিদা “গৃহকর্মীকে” জানাতে হয়, প্রয়োজনীয় বাজার করতে হয়, তদারকি করে রান্নার পর খাবারটি টেবিলে আসে। সেখানেই শেষ নয়। রান্নার পর যে আবর্জনা জমা হয় সেটি ফেলতে বড় ট্রাক লাগে। সেন্ট্রাল কিচেন সিস্টেমে এসব কিছুর কোন বালাই নাই। আপনার খাবারের চাহিদা “কল সেন্টারকে” জানান। চাহিদা জানানোর কাজটি প্রতিদিন, সপ্তাহে বা মাসের ভিত্তিতে হতে পারে। সকলের চাহিদার বিবেচনায় বাজার হবে, সেন্ট্রাল কিচেনে রান্নার পর সার্ভিস কর্মী আপনাকে খাবার পরিবেশন করবে সর্বোচ্চ পেশাদারী কায়দায় ঠিক যেমনটি আপনি চাইবেন এবং যেখানে চাইবেন। স্বপ্নযাত্রায় সেন্ট্রাল কিচেনের মোটামুটি তিনটি আউটলেট থাকবে। যেমন (১) বাসায় খেতে পারেন (২) সেন্ট্রাল ডাইনিং এ খেতে পারেন (৩) ক্লাব বিল্ডিং এ ফুড কোর্টে ৩০টি রেস্টুরেন্টের যে কোন একটিতে খেতে পারেন। (৪) ক্লাবে লাইভ কিচেনে খেতে পারেন। (৫) ছেলেমেয়েরা সেন্ট্রাল লাইব্রেরীতে খেতে পারে। খাবারের খরচ কোন অবস্থাতে বাড়বেনা বরং কমবে। কারন (১) জ্বালানী খরচ কম (২) গৃহকর্মীর বেতন লাগছে না। গৃহকর্মী নেই বিধায় তার থাকার জায়গা করার জন্য ফ্লোর স্পেস কিনতে হচ্ছে না। (৩) বাজার খরচ কম কারন মোটামুটি সব খাবার উপকরন “কমিউনিটির জমিতে” (ফার্ম ল্যান্ডে) চাষ হচ্ছে। ভাবছেন আপনার ফ্ল্যাটের কিচেনের কী হবে? আপনার ফ্ল্যাটের কিচেন সারা বছর ঝকঝকে তকতকে থাকবে কারন সেখানে রান্না হবে কালেভদ্রে।

৪। কমিউনিটি ফার্ম ল্যান্ডঃ
ত্রিশ বিঘার একখণ্ড কৃষি জমি “স্বপ্নযাত্রা” প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত হবে। জমিটি নিতান্তই কমদামের কৃষিজমি যেখানে আধুনিক পদ্ধতিতে কমিউনিটি কিচেনের প্রয়োজনীয় সবজী, ফল এবং মাছ উৎপাদন করা হবে। চাল উৎপাদনের জমি লীজ নেয়া হবে। ২৬৬টি পরিবারের সারা বছরের আমিষের চাহিদা মেটে এরকম একটি মাংশ, দুধ এবং ডিম উৎপাদনকারী খামার থাকবে সেখানে। ভেজালের যুগে নিজেদের খামার ছাড়া খাদ্যদ্রবের মানের নিয়ন্ত্রণ রাখা মুশকিল হয়ে যাবে।

৫। কমিউনিটি ট্রান্সপোর্টঃ
স্বাভাবিক ভাবেই ঢাকায় আবাসনের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা বেশী। ব্যবসা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দূরে হওয়ার কারনে ক্রমাগত গাড়ির সংখ্যা স্বাভাবিক ভাবেই বাড়বে। ফলাফল যানজট হবে তীব্র থেকে তীব্রতর। আর এই যানজটের তীব্রতায় পরিবারের বাকী সদস্যদের জন্য আরও একটি নতুন গাড়ি নামিয়ে আমরা এই জট আরও তীব্র করে তুলতে পারি। পরিত্রাণের উপায় হতে পারে অধিকতর “শেয়ারিং”। প্রাথমিক ভাবে স্বপ্নযাত্রায় ২০টি গাড়ি কেনা হবে যা “স্বপ্নযাত্রা”র সকলেই প্রয়োজন অনুযায়ী শেয়ার করবেন শুধুমাত্র অপারেটিং কস্টের শেয়ার মূল্যে।

৬। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হবে দোরগোড়ায় এবং নিবিড়, সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
সামাজিক নিরাপত্তার আরও একটি মেইল ফলক “স্বাস্থ্য” এবং “স্বাস্থ্য ব্যবস্থা”। স্বপ্নযাত্রা মূলত দুটি দিকেই যথোপযুক্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে। “স্বাস্থ্য” ঠিক রাখার ব্যবস্থার কথা উপরে ব্যক্ত করা হয়েছে। এবার আসি “স্বাস্থ্য” নস্ট হলে তার কী ব্যবস্থা করা হবে সেই আলোচনায়। (ক) স্বপ্নযাত্রার ফ্ল্যাটের ডিজাইন এমন ভাবে করা হচ্ছে যাতে প্রয়োজনের সময় যে কোন ফ্ল্যাটের অন্তত একটি রুমে অস্থায়ী ক্লিনিক বেড স্থাপন করা যায়। ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান সহ বহনযোগ্য বেড এবং চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করা হবে (খ) স্বপ্নযাত্রায় প্রতিটি ফ্যামিলী ভার্চুয়াল মেডিক্যাল সার্ভিসের আওতায় থাকবে। সকলেই প্রয়োজনের সময় কমিউনিটি চিকিৎসা পরামর্শ পাবে। (গ) একটি সর্বাধুনিক এ্যাম্বুলেন্স সিস্টেম (ডাক্তার (অন-কল), নার্স, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান, ড্রাইভার, হেল্পার) ২৪ ঘন্টা এক্টিভ থাকবে। (ঘ) এমারজেন্সি সহ একটি ফ্যামিলী ক্লিনিক থাকবে। (ঙ) আউটডোর পেশেন্ট ম্যানেজমেন্টে (ওপিডি) কমবেশি ৪০জন ডাক্তার নিয়মিত রোগী দেখবেন (চ) একটি ডায়াগনস্টিক ল্যাব আউটলেট থাকবে (ছ) সুপার মলে অন্তত একটি ফার্মাসি থাকবে (জ) কমিউনিটির অংশ হিসাবে স্বপ্নযাত্রায় থাকা ডাক্তারগণ প্রয়োজনের সময় তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।

৭। জ্ঞান ভিত্তিক কমিউনিটি নির্মাণঃ
জ্ঞান ভিত্তিক সমাজের মূল কাঠামো আবর্তিত হয় জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র মানে বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রে রেখে, ঠিক যেমনটি হয়েছে অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ বা হার্ভার্ডের মত বিশ্ববিদ্যালয় শহরে। সারা পৃথিবীর যেসব জায়গায় সভ্যতা বিকশিত হয়েছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে একটি শহর এবং একটি সমাজ নির্মিত হয়েছে। কোন এক কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ঢাকার সমাজ অনেকটা তাই ছিল। উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রে রেখে স্বপ্নযাত্রা তথা পুরো বেনটেনকে (দশ হাজার মানুষের সমাজ) সেভাবেই আবর্তিত এবং বিকশিত হবে। উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয় চালাবে কারা? অবশ্যই “স্বপ্নযাত্রার” অনেকেই। উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবে কারা? একই উত্তর, “স্বপ্নযাত্রার” অনেকেই। উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্যোক্তা হতে আসবে কারা? “স্বপ্নযাত্রা” পরিমন্ডলের কেউ কেউ। শুরুতে “স্বপ্নযাত্রা” পরিবারের গুটিকতক সদস্য উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলেও নিকটতম ভবিষ্যতে হয়তো সকলেই বেনটেনকে পরিবারের সদস্য হবে।

বেনটেনকে কী এবং কেন?
মিরপুর ক্লাব শুরু থেকেই যে কমিউনিটি ডেভেলপ করছে সেটিই বেনটেনকে (BEN10K, Balanched Effective Network of 10 Thousand People)। বেনটেনকে হবে ১০ হাজার মানুষের একটি কমিউনিটি। স্বপ্নযাত্রার ২৬৬টি পরিবার অবশ্যই বেনটেনকের অন্তর্ভুক্ত হবে। আপনি স্বপ্নযাত্রায় আছেন মানে আপনি ১০হাজার করিৎকর্মা ভালো মানুষের নেটওয়ার্কের একজন।

৮। স্বপ্নযাত্রা থেকে বেনসিটিঃ
স্বপ্নযাত্রা সুদীর্ঘ গবেষণার ফসল। এটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন বর্তমান মেয়র জনাব আতিকুল ইসলাম সাহেব ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে। এই সুদীর্ঘ সময়ে স্বপ্নযাত্রা তার আনুসাঙ্গিক উপকরণ নিয়ে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে। স্বপ্নযাত্রা আরও বিকশিত হয়ে “বেনসিটি” নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাবে। “স্বপ্নযাত্রা” কুড়ি হলে “বেনসিটি” হবে বিকশিত ফুল। স্বপ্নযাত্রা’র সদস্যরা তাই চাইলেই “বেনসিটি”র একজন হয়ে উঠতে পারবেন বাড়টি কোন খরচ ছাড়াই।

৯। কমিউনিটি রিসোর্টঃ
স্ট্রেস, টেনশন, ডিপ্রেশন, ক্লান্তি, অবশাদ এবং তারপর শরীরে তার প্রভাব। সেটি স্ট্রোক, হার্ট এটাক বা ডাইবেটিক যেকোন ফর্মে দেখা দিতে পারে। এর সবই নগর জীবনে আমাদের অনুষঙ্গ। যেটি সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকবে। সমাধান হতে পারে একটি নিরিবিলি গ্রামীণ পরিবেশ। আমাদের মনজগতে তাই বাগানবাড়ি’র ব্যপারটা থেকেই যায়, একটি বাগানবাড়ি থাকলে ভালো হোত। কিন্তু সবার ভাগ্যে তা জোটে না। বাগানবাড়ি থাকলেও আরও এক সমস্যা হল মেইনটেনেন্স খরচ। “স্বপ্নযাত্রা”র সকল সদস্যই বাড়তি খরচ ছাড়াই একটি বাগানবাড়ি বা রিসোর্ট পাবেন। সকল সদস্যই প্রয়োজনের সময় সেটি ব্যবহার করতে পারবেন।

১০। হক্কুল ইবাদঃ
জাকাত, ফেতরা এবং যে কোন অনুদান যথোপযুক্ত জায়গায় দিতে পারাটা একটা ব্যপার তো বটেই। স্বপ্নযাত্রায় একটি এতিমখানা থাকবে যা ২৬৬টি পরিবারের জাকাত, ফেতরা এবং দানে পরিচালিত হবে। এতিমখানার অবস্থান কমিউনিটি ফার্মল্যান্ডের সাথেই হবে।

১১। “স্বপ্নযাত্রা”য় রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান কিভাবে কার্যকর হবে?
“স্বপ্নযাত্রা”র সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে সদস্যদের দ্বারা। সুযোগ এবং যোগ্যতা অনুযায়ী “স্বপ্নযাত্রা”র সকলেই যে কোন প্রতিষ্ঠানে, প্রজেক্টে বা স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বেন-ইকোনমিতে অন্তর্ভুক্তি হতে পারে অংশগ্রহণের একটি অন্যতম উপায়।

বেন-ইকোনমিঃ বেনটেনকে কমিউনিটির সকল সদস্য “মিরপুর ক্লাব” প্লাটফর্মের অন্তর্ভুক্ত কোন না কোন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকতে পারবেন। এই সকল প্রতিষ্ঠান একটি নেট-ওয়ার্কের আওতাভুক্ত থেকে স্বস্ব ক্ষেত্রে পরিচালিত হবে। “মিরপুর ক্লাব” তথা ক্লাবের সকল সদস্য একটি নির্দিষ্ট শেয়ারের মালিক হিসাবে থাকবেন যা মিরপুর ক্লাবের সকল এক্টিভ মেম্বারদের কল্যাণে ব্যয় হবে।

১২। বাড়তি আয় কী কী ভাবে কার্যকর হতে পারে?
স্বপ্নযাত্রার সকল সার্ভিস অবশ্যই বেন-ইকনোমির কোন না কোন প্রতিষ্ঠান দ্বারা সম্পাদনের ব্যবস্থা করা হবে। কিছু প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ হিসাবেও আবির্ভূত হবে। মিরপুর ক্লাবের পরিমন্ডলে বেড়ে উঠা সকল প্রতিষ্ঠানের একটি সর্বনিম্ন শেয়ার বেনটেনকের সদস্যদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সরাসরি জড়িত পরিচালক এবং অংশীদার-গণ যে কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মত তাদের লভ্যাংশ পাবেন।

স্বপ্নযাত্রা বাস্তবায়নের কৌশলঃ
মোট চারটি কম্পোনেন্টে ভাগ হয়ে সমস্ত কৌশলটি ধাপে ধাপে প্রয়োগ হবে। কম্পোনেন্টগুলো হলঃ
(১) ফাউন্ডার ফাইটারঃ মূলত ডেভেলপমেন্ট, অরগানাইজিং, ব্রান্ডিং এবং ম্যানেজমেন্ট টীম যাদের অভিজ্ঞতায়, শ্রমে, অর্থে, জ্ঞান-বুদ্ধি এবং ত্যাগ-তিতিক্ষায় সম্পূর্ণ “স্বপ্নযাত্রা” কমিউনিটি হিসাবে নির্মিত হবে।
(২) রোজবাডঃ মূলত ডেভেলপমেন্ট টীম, যাদের অর্থে, অভিজ্ঞতায়, মেধায়, নেটওয়ার্কে, জ্ঞান-বুদ্ধিতে আবাসিক ভবনের ফ্ল্যাট গুলো নির্মিত হবে। প্রথম ১২০টি ফ্ল্যাটে বিনিয়োগকারী রোজবাড হিসাবে গণ্য হবে।
(৩) রোজঃ কমিউনিটি পার্টনার যাদের আর্থিক বিনিয়োগে কমিউনিটি ব্যবস্থাপনা সমূহ বিকশিত হবে। বাকি ফ্ল্যাটে বিনিয়োগকারী রোজবাড হিসাবে গণ্য হবে।
(৪) আর্লি বার্ডঃ যাদের বিনিয়োগে, অভিজ্ঞতায়, জ্ঞান-বুদ্ধিতে কমিউনিটি ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনা সম্পাদিত হবে।

“স্বপ্নযাত্রা” কীভাবে পরিচালিত হবে?
একজন সিইও’র নেতৃত্বে একটি চৌকশ বাহিনী সমস্ত সার্ভিস পরিচালনা করবেন।

“স্বপ্নযাত্রা”য় অন্তর্ভুক্তির উপায়ঃ
মিরপুর ক্লাবের সদস্য এবং যে কেউ ক্লাবের নুতন সদস্য হয়ে সুযোগটি নিতে পারেন।

কমিউনিটি ভবন বাদে অন্য সকল ভবনের নির্মাণ ও ডেভেলপমেন্ট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুটে ৫,৫০০ (পাঁচ হাজার পাঁচশত) টাকা, যা উপকরনাদির বাজার দর অনুযায়ী উঠানামা করবে।

কম্পোনেন্টঃ রোজবাড (শেয়ার প্যাকেজ)

১। রোজবাড ক্লাবের বর্তমান মেম্বারদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
২। বায়না এবং রেজিস্ট্রেশান কালীন সময়ে কোন অবদান রাখবেন তাদেরই শেয়ার প্যাকেজের সুযোগ দেয়া হবে।
৩। রোজবাড শুধুমাত্র প্রথম সর্বোচ্চ ১২০ টি ফ্ল্যাটের জন্য প্রযোজ্য হবে।
৪। রোজবাডের আওতাধীন আটটি প্যাকেজের প্রতিটির শেয়ার মূল্য ফ্ল্যাটের নির্মাণ ও ডেভেলপমেন্ট ব্যয়কে ভিত্তি ধরে হিসাব করা হয়েছে।
৫। পরিশোধযোগ্য মোট ব্যয় হবে এমএসপি’র ভিত্তিতে।
৬। পরিশোধযোগ্য মোট ব্যয় = ফ্ল্যাটের নির্মাণ ও ডেভেলপমেন্ট ব্যয় + কমিউনিটি চার্জ। কমিউনিটি চার্জ ফ্ল্যাটের নির্মাণ ও ডেভেলপমেন্ট ব্যয়ের উপর ০% থেকে ১৫% পর্যন্ত নির্ধারিত হবে।

কমিউনিটি জোনঃ আর্লি বার্ড (শেয়ার প্যাকেজ)

শুধুমাত্র কমিউনিটি বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যা বাণিজ্যিক ব্যবহার হবে।
কমিউনিটি জোনের ডেভেলপমেন্ট খরচ ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুটে ৬,৫০০ টাকা যা উপকরনাদির বাজার দর অনুযায়ী উঠানামা করবে।
১। সর্বনিম্ন ১টি শেয়ারের মূল্য ২,০০,০০০ টাকা।
২। আর্লি বার্ড বর্তমান এবং নতুন মেম্বারদের জন্য প্রযোজ্য।
৩। কমিউনিটি জোনের শুধুমাত্র নির্ধারিত ফ্লোরস্পেসে আর্লি বার্ড প্রযোজ্য হবে।
৪। ফ্লোরের অবস্থান এবং বাণিজ্যিক উপযোগিতার বিবেচনায় পরিশোধযোগ্য মূল্য নির্ধারিত হবে।
৫। মিরপুর ক্লাব এবং স্বপ্নযাত্রা কমিউনিটির জন্য নির্ধারিত ৫টি ফ্লোর বাদে বাকি ১০টি ফ্লোরের স্পেস নিয়ে একটি কমার্শিয়াল কোম্পানি গঠন হবে।
৬। কমার্শিয়াল কোম্পানির আয়ের ২৫% সার্ভিস চার্জ হিসাবে ক্লাবের জন্য রেখে ৭৫% লভ্যাংশ সকল শেয়ার হোল্ডারদের বিতরণ হবে।
৭। পরিশোধযোগ্য মোট শেয়ার মূল্য = বেসিক শেয়ার মূল্য + কমিউনিটি চার্জ (শতকরা হিসাবে ইউনিট প্রতি শেয়ার মূল্যের উপর বর্তাবে)।
৮। কমিউনিটি জোনে মোট শেয়ারের পরিমাণ ২৯২৫টি (কম বা বেশী হতে পারে)।

কন্ডোমিনিয়াম এবং রেসিডেন্সিয়াল রিসোর্ট জোনঃ রোজ

১। রোজ শুধুমাত্র নুতন মেম্বারদের জন্য প্রযোজ্য।
২। ১২১ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে রোজ শুরু হবে।
৩। রোজে ফ্ল্যাটের মূল্য শুরু হবে বর্তমান/তৎকালীন বাজারদর অনুযায়ী।
৪। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী প্রতি বর্গফুটের মূল্য ধার্য হোল ৮০০০ টাকা, যা বাজারদর অনুযায়ী বাড়বে।

স্বপ্নযাত্রার ফাঊন্ডার মেম্বারঃ ফাঊন্ডার ফাইটার

ফাউন্ডার ফাইটার কারাঃ

যাদের শ্রমে, অভিজ্ঞতায়, অর্থে, জ্ঞান-বুদ্ধি এবং ত্যাগ-তিতিক্ষায় সম্পূর্ণ “স্বপ্নযাত্রা” কমিউনিটি হিসাবে নির্মিত হবে।

মূলত চারটি টীমে ফাউণ্ডার ফাইটারগন থাকবেনঃ (১) ডেভেলপমেন্ট, (২) অরগানাইজিং, (৩) মার্কেটিং ও ব্রান্ডিং এবং (৪) ম্যানেজমেন্ট টীম।
১। ফাউন্ডার ফাইটারগণ অবশ্যই যুগান্তকারী ও দৃশমান অবাদান রাখবেন।
২। ফাউন্ডার ফাইটারগণ অবশ্যই বিশেষ সুবিধা পাবেন এমএসপি (মেম্বারশীপ স্ট্যাটাস পয়েন্ট) এবং সরাসরি যুগান্তকারী অবদানের ভিত্তিতে।
৩। ফাউন্ডার ফাইটার অবশ্যই পূর্ণ ১০ টি ফ্ল্যাট বিক্রীতে (রোজ) বা ১০ কোটি টাকা পরিমাণ বিক্রীতে এবং সার্বিক দৃশমান অবদান রাখবেন।
৪। সম্পূর্ণ প্রজেক্ট শেষ না পর্যন্ত ফাউন্ডার ফাইটারের কাজ শেষ হবে না।

দ্রুত বাস্তবায়নে প্রণোদনা

স্বপ্নযাত্রা দ্রুত বাস্তবায়নের নিমিত্তে বাস্তবায়নকারী সকলের জন্য একটি বেসিক প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকবে।

স্বপ্নযাত্রা বাস্তবায়নের কাল

প্রজেক্টের সিভিল ওয়ার্কের বাস্তবায়ন কাল ধরা হয়েছে চার বছর (কিছুটা কম বেশী হতে পারে)। প্রথম রেসিডেনশিয়াল বিল্ডিং সমাপ্ত হবার সময় ধরা হয়েছে ৩৬মাস। পেমেণ্ট কমপ্লিট হওয়া সাপেক্ষে ফ্ল্যাট হস্তান্তর হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩৬মাস থেকে ৪৮মাসের মধ্যে কমিউনিটি পরিকাঠামো (সিভিল ওয়ার্কস) সমাপ্ত করা যাবে। পরবর্তী ৬ মাস (৫৪ মাস) সময়ের মধ্যে কমিউনিটি জোন চালু করা হবে। ৬০ মাস সময়ের মধ্যে কমিউনিটি ট্রান্সপোর্ট, ফার্মল্যান্ড, সেন্ট্রাল কিচেন, কমিউনিটি ক্লিনিক, এ্যাম্বুলেন্স, ইমারজেন্সি সহ সকল কমিউনিটি ফ্যাসিলিটি চালু করা হবে।

আমাদের কথা
মিরপুর ক্লাব একটি কমিউনিটি ক্লাব হিসাবে জন্মলগ্ন থেকে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের ধারনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ধাপে ধাপে অর্জিত সক্ষমতার ভিত্তিতে “স্বপ্নযাত্রা” বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। আসুন “স্বপ্নযাত্রা” বাস্তবায়নের মাধ্যমে একসাথে ভালো থাকার মন্ত্রকে বিশ্ববাসীর সামনে সমুজ্জ্বল করি।

মিরপুর ক্লাবের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট

ধাপে ধাপে অর্জিত সক্ষমতাই “স্বপ্নযাত্রা” বাস্তবায়নের ভিত্তি।

মিরপুর ক্লাবঃ আমরা একসাথে ভালো থাকার মন্ত্রে দীক্ষিত। জাতি গঠনে আমরা সংগঠিত ও দীপ্ত। আমাদের লক্ষ্য নির্দিষ্ট।

২৭সে আগস্ট, ২০২১ - মিরপুর ক্লাবের ৩য় বর্ষ পূর্তি পালন।

৪ঠা ডিসেম্বার, ২০২১ - কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টে উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা।

২৯শে জানুয়ারি, ২০২১ – মিরপুর ক্লাবের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, মিশন-৩১ প্রকাশিত হল। মিরপুর ক্লাবের ১০ বছরের চূড়ান্ত পরিকল্পনার উপাদান চারটি (১) বেনটেনকে, ১০ হাজার করিৎকর্মা মানুষের নেটওয়ার্ক (২) উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয় (৩) বেনসিটি (৪) বেন ইকনোমি।

২০১৯ সালের ডিসেম্বার মাস থেকে উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা নিরূপণের কাজটি শুরু হয়েছে।

মিরপুর ক্লাবে মিশন-৩১ বাস্তবায়নে কাজ চলছে নিরন্তর। স্বপ্নযাত্রা বাস্তবায়ন মিশন-৩১ এর প্রথম ধাপ। তাই মিরপুর ক্লাবের প্রতিটি সদস্য তাদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে “স্বপ্নযাত্রা” বাস্তবায়ন করে চলেছে।

৪ঠা ডিসেম্বার, ২০২১ – এনুয়াল এ্যাওয়ার্ড নাইট। মিরপুর ক্লাবের বড় অর্জন একটি পরিশীলিত নেটওয়ার্ক।

মিরপুর ক্লাবের ফরমেশান টীম মেম্বার যাদের নিষ্ঠা, মেধা আর শ্রমেই মিশন-৩১ এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত হচ্ছে।

মিরপুর ক্লাবের "ফিস ফর কমিউনিটি"
ফিস ফর কমিউনিটির মূল উদ্দেশ্য কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট।

মিরপুর ক্লাব মূলত ৭ টি অবজেক্টিভ নিয়ে কাজ করছে। অবজেক্টিভগুলো বাস্তবায়নে আমরা তিনটি মেগা প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছি। প্রোজেক্টগুলো হোল (১) অপারেশান চিতা (স্বল্প মেয়াদি, জানুয়ারী ২০২১ এ শেষ হবে); (২) স্বপ্নযাত্রা, ২০১৯ এ শুরু হয়েছে, শেষ হবে ২০২৫এ, (৩) বেনসিটি, শুরু হবে ২০২১এ শেষ হবে ২০৩০এ।

সকল প্রজেক্টেরই মূলকথা, আমরা একটা কমিউনিটি বানাতে চাই যার মাধ্যমে ৭টি লক্ষ্যই পূরণ করা যাবে। কমিউনিটি মানে একটি পরিবার, একসাথে ভালোভাবে বেচে থাকা। একসাথে একটি পরিবার হয়ে বেঁচে থাকা খুব সহজ ব্যাপার না। বিশাল সময় ধরে অনুশীলন প্রয়োজন। আমরা বিভিন্ন ভাবেই অনুশীলনগুলো করি। ফিস ফর কমিউনিটির তারই একটি উদাহরণ। আমাদের কাছে মাছ খাওয়াটা বড়কথা না। বড়কথা একসাথে খাচ্ছি।

ম্যাঙ্গো প্যাকঃ মিরপুর ক্লাবের আমের প্রোজেক্ট চলছে ২০২০ সাল থেকে।

আল্লাহর জন্য কুরবানি

মিরপুর ক্লাবের উদ্দোগে মেম্বার সার্ভিসের অংশ হিসেবে মেম্বার ও তাঁদের বন্ধু-আত্বীয়সজনদের জন্য এবার ৫০টি গরু কোরবানীর আয়োজন করা হয়েছিল এবং তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আগামীতে এর পরিধি আরও বাড়বে।
মিরপুর ক্লাবের আয়োজনে কোরবানির জন্য ৫০টি গরু প্রস্তত।

এমসিএল স্কুল অব ক্রিয়েটিভিটিঃ মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল গল্প

"মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল গল্প" মিরপুর ক্লাবের স্কুল ভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনের প্রকল্প। " মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল গল্প " বর্তমান প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধকে অনুধাবনের বাহন।

কোভিড কালীন মহামারির সময়ে মিরপুর ক্লাবের স্বাস্থ্য বিষয়ক উদ্যোগঃ ভার্চুয়াল হাসপাতাল

একটা আদর্শ হাসপাতালে যতগুলো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় তার সব ধরনের সুযোগ সুবিধা এই ভার্চুয়াল হাসপাতালে পাওয়া যাবে। এই ভার্চুয়াল হাসপাতাল মূলত একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নেটওয়ার্ক। এটি মূলত একটি সমন্বিত হাসপাতাল নেটওয়ার্ক হবে। এটির নাম হবে ভার্চুয়াল হাসপাতাল সিস্টেম বা ভার্চুয়াল হাসপাতাল নেটওয়ার্ক।

কোভিড কালীন মহামারির সময়ে মিরপুর ক্লাবের বাংলাদেশ পুলিশকে পিপি সহায়তা

করোনার ক্রান্তিকালে সবচেয়ে বড় পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। ডিএমপি'র মিরপুর ডিভিশনের ডিসি (ডেপুটি কমিশার অব পুলিশ) জনাব মোস্তাক আহমেদ সাহেবের নিকট পিপি হস্তান্তর করা হচ্ছে।

কোভিড কালীন মহামারির সময়ে মিরপুর ক্লাবের খাদ্য সহায়তা প্রকল্পঃ ফুড ব্যাগ প্রোগ্রাম

কিছু মানুষের জন্য সাহায্য চাওয়ার ব্যপারটা একটু কঠিন। কারন তারা সাহায্য চাওয়ায় অভ্যস্ত না। এই মানুষগুলোর অভিব্যাক্তি ঠিক ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। এই মানুষগুলোকে আমরা বলছি বিপাকে পড়া মানুষ। কেউ কেউ ভাবছেন করোনার আক্রমন মাত্র সিপ্তাহের ব্যপার। সেরকম না হলে আমাদের বিশাল সংখ্যক মানুষ বিপাকের সম্মুখীন হবে। আমাদের চারপাশের বিপাকে পড়া কিছু মানুষের জন্য ছিল মিরপুর ক্লাবের "ফুড ব্যাগ" প্রোগ্রাম।

মিরপুর ক্লাবের ফ্যামিলী-ডে

এমসিএল স্কুল অব ক্রিয়েটিভিটি'তে ড্রইং চলছে পুরোদমে।

মিরপুর ক্লাবে আমরা

মিরপুর ক্লাব: প্রফেশনালস আর এন্টারপ্রেনারসদের নেটওয়ার্ক

বীনঃ মিরপুর ক্লাবে আমাদের নিত্য প্রয়োজনের যোগানদার

বীনঃ কমিউনিটি কমার্স, ঠিক যেমনটি আপনার দরকার